Bangla Blood
   
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ প্রতিকার নির্ভর করে আমাদের সচেতনতার উপর। সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে ভালো থাকুন অন্যকে ভালো রাখুন।

Article



করোনার ভাইরাসের মতিগতি ও বাংলাদেশের করোনার  ভবিষৎ কোন দিকে?


জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিজ্ঞানের একটি গুরুত্ত পূর্ণ শাখা। যার কাজ জীবের ডিএনএ এবং জিন নিয়ে কাজ করা। জিনের মধ্যে সকল জীবের গঠন বৈশিষ্ট বিদ্যমান। জেনেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এই জিনের বিদ্যমান গঠন বৈশিষ্ট রহস্য উম্মচন এবং পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে। যেমন আপনার গাছের আমে মিষ্টি কম আপনি ছাইলে এই কম মিষ্টি কম স্বাদের আমকে বেশী মিষ্টি ও বেশী স্বাদ করতে পারেন।আম মিষ্টি স্বাদের করার জন্য যে জিনটি টক স্বাদের জন্য দায়ী সে জিনটি সরিয়ে মিষ্টি বৈশিষ্টের জিনটি প্রতিস্থাপন করে দিলেই হল আপনার আম এখন মিষ্টি স্বাদ বৈশিষ্ট লাভ করলো পরবর্তী প্রজন্ম হতে আপনি ওই একই প্রজাতির আম মিষ্টি স্বাদের লাভ করবেনএভাবে জিনের গঠন বৈশিষ্ট পরিবর্তন করে কাজের উপযোগী প্রয়োজনীয় প্রায়গিক জিন তৈরি আপনার পছন্দ মতো যে কোন জীব সৃষ্টি করা সম্ভব।
এতো কথা বলার কারন হচ্ছে বৈশিষ্টর দিক থেকে মনে হয় করোনা ভাইরাস কোন ল্যাবে সৃষ্টি হয়েছেমনে হচ্ছে পৃথিবীর প্রভাবশালী জাতী সমূহকে থ্রেড করা বা ধ্বংস করার জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে। কারন এর আক্রমণের আক্রান্ত এলাকা গুলোতে জিওগ্রাফিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল সাদৃশ্য রয়েছে। নিচে কিছু গবেষণা ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা প্রমান করার চেষ্টা করা হবে।তবে কেউ তৈরি করুক আর না করুক প্রাকৃতিক ভাবে এটির সৃষ্টি হলেও বলবো করোনার জিওগ্রাফিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল সেন্স রয়েছে।করোনা থেকে বাঁচার জন্য আমাদের অবস্থা কি, আমরা সুরক্ষিত না অরক্ষিত করনীয় কি। চলুন শুরু করা যাক। 
বাস্তব অবস্থা নিরিখে মনে হচ্ছে করোনা ভাইরাসটির জিওগ্রাপিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল সেন্স রয়েছে। জিওগ্রাফিক্যাল বলতে এটির ভৌগলিক তাপমাত্রা ও উষ্ণতা সহনশীলতা বিষয় রয়েছে করনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রধান মাধ্যম শ্বাসনালী। বিভিন্ন তাপমাত্রায় ভাইরাসটির স্থায়িত্ব এবং মসৃণ পৃষ্ঠগুলিতে আপেক্ষিক আর্দ্রতা অধ্যয়ন করে দেখবো কীভাবে বেঁচে থাকা প্রভাবিত হয় তা জানার চেষ্টা করবো করোন ভাইরাসগুলির বেঁচে থাকার জন্য তাপমাত্রা এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা প্রভাব নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল গবেষণায়।গবেষণাটি পরিচালনা করেন (National Center for Biotechnology Information, U.S. National Library of Medicine)
 
স্টেইনলেস স্টিলের উপর করোন ভাইরাস ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ২৮ দিন পর্যন্ত বেঁচে থাকে এবং নিস্ক্রিয়তার সর্বনিম্ন স্তরটি ঘটে ২০% আদ্রতায়। নিষ্ক্রিয়তা সমস্ত আর্দ্রতা স্তরে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে আরও দ্রুত ছিলভাইরাসগুলি ৫ থেকে ২৮ দিনের জন্য অব্যাহত থাকে এবং স্বল্পতম নিষ্ক্রিয়তা কম আর্দ্রতায় ঘটে। করোনা ভাইরাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আরও দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়েছিল। নিষ্ক্রিয়তা এবং আর্দ্রতা সম্পর্ক একই  ছিল না,  কম আর্দ্রতা (২০%) এবং উচ্চতর আর্দ্রতা (৮০%) মাঝারি আর্দ্রতা (৫০%) এর চেয়ে বেশি বেঁচে থাকা বা বৃহত্তর প্রতিরক্ষামূলক প্রভাব ছিল ভাইরাসটিতে অর্থাৎ ৫০% অদ্রতায় দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়েছিল
 
শুকনো ভাইরাসটি 22-25 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এবং 40-50% এর আপেক্ষিক আর্দ্রতা অর্থাৎ সাধারণ শীতাতপ  নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে তার কার্যকারিতা বজায় রাখে অথাৎ নিম্ন তাপমাত্রা এবং কম আর্দ্রতায় এবং ৮০% উপর আদ্রতায় এটি শক্তিশালি থাকে। তবে, উচ্চতর তাপমাত্রা এবং উচ্চতর আপেক্ষিক আর্দ্রতা ( ৩৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এবং ৫০% এর আপেক্ষিক আর্দ্রতায় এ ভাইরাসটির কার্যক্ষমতা দ্রুত  হারিয়েছিল। কম তাপমাত্রা ৪-২০ ডিগ্রী তাপমাত্রায় এবং ২০% কম আর্দ্রতা এবং কম তাপমাত্রা ৪-২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও ৫৫% এর বেশী অদ্রতার পরিবেশে করোন ভাইরাসটির আরও ভাল স্থিতিশীলতা পায় যা ইতোমধ্যে রোম, মাদ্রিদ,উহান, নিউইয়র্ক , তেহরান, লন্ডন যেখানের তাপমাত্রা ৬ থেকে ২০ ডিগ্রীর সেলসিয়াস অপেক্ষিক আদ্রতা ৫৫% উপরে যেখানে প্রকোপ ব্যাপক আকারে দেখা দিয়েছে। এ কথা বললে অনেকে বলে তাহলে বাংলাদেশে করোনা প্রকোপ কেন? তাদেরকে বলি ইউরোপে প্রচুর অ্যাপেল জন্মে কেউ চাইলে বাংলাদেশেও অ্যাপেল গাছ লাগাতে পারে তাই বলে কি ইউরোপের অ্যাপেল বাংলাদেশের অ্যাপল এক স্বাদের হবে কিংবা সম পরিমাণ ফলন হবে কখনই না। তেমনই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে গত কয়েক দিনের তাপমাত্রা দিনে ৩০-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাতে ২০-২৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস  এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৩৮%গবেষণায় প্রমান করে ২৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ছেয়ে বেশি ডিগ্রী তাপমাত্রা এবং ২৫%-৫০% অদ্রতা ভাইরাসটির কার্যক্ষমতা দ্রুত  হারায় অর্থাৎ তাপমাত্রা যত বেশী হবে ভাইরাসটি তত দ্রুত নিস্ক্রিয় হবে যা আশার আলো হলেও হতে পারে করোনা মহামারী প্রতিরোধে কিন্তু আমরা আক্রান্ত হবনা এ কথা বলা যাবে না, কারন রাতের তাপমাত্রা এবং আদ্রতা কিন্তু করোনা ভাইরাসের অনুকূলে। নীচের ম্যাপ খেয়াল করলে দেখবেন পৃথিবীর শীতলতম এলাকা গুলোতেই করোনার প্রকোপ ব্যাপক মহামারী আকারে দেখা দিয়েছে। ইতালি, স্পেন, আমেরিকার কয়েক দিনের মৃতের পরিসংখ্যান দেখলেই তা আনুমান করা যায়।সেখানের কয়েক দিনের গড় আবহাওয়ার পরিসংখ্যান দেখলেই বুজা যায় ।

করোনা ভাইরাস আক্রমণে সাথে অক্ষাংশের গভীর সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে অক্ষাংশ হচ্ছে পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকেই অক্ষাংশ বলে

করোনা ভাইরাস আর্কটিক অব ক্যান্সার ২৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে আর্কটিক সার্কেল ৬৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। যেখানে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে (চিত্র নিচে)

latitude map.jpg   

করোনা ভাইরাস প্রথম আক্রমণ করে চীনের উহান প্রদেশে, যার অক্ষাংশ  ৩০ ডিগ্রি উত্তর  থেকে শুরু করে ৫৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে সামনের দিকে ধিরে ধিরে উপরে উঠেছে, দ্রাঘিমা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, কিন্তু নিচে নামেনি অর্থাৎ করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে উপরের দিকে, কিন্তু নিচের দিকে নামমাত্র করোনা হয়েছে আর মৃত্যু নেই বললেই চলে আমরা আজকের ০১.০৪.২০২০ তারিখের তাপমাত্রা, অদ্রতা এবং আজ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দেখে  অক্ষাংশের ভিত্তিতে বেশী আক্রান্ত শহর গুলো দেখি তাহলে ২৫ ডিগ্রী আক্ষাংশের উপর ও নিচের পার্থক্য বুজা যাবেযেমন- প্রথম শুরু হয় চীনের উহানে যার যার অক্ষাংশ ৩০ ডিগ্রি উত্তর, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৭৩% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৩৩১২ জন ইরান যার যার অক্ষাংশ ৩২ ডিগ্রি উত্তর তেহরানের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৪৪% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৩০৩৬ জন স্পেন যার অক্ষাংশ ৪০ ডিগ্রি উত্তর মাদ্রিদে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৬৭% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৯০৫৩ জন ইতালি যার অক্ষাংশ ৪১ ডিগ্রি উত্তর রোম তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ২৯% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ১২৪২৮ জন জাপান যার অক্ষাংশ ৪৩ ডিগ্রি উত্তর টোকিও তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৯৩% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৫৭ জন ফ্রান্স যার অক্ষাংশ ৪৬ ডিগ্রি উত্তর তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৩৯% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৩৫২৩ জন জার্মানি যার অক্ষাংশ ৫১ ডিগ্রি উত্তর বার্লিন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী এবং ৩৭% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৮২১ জন যুক্তরাষ্ট্র যার অক্ষাংশ ৪০ ডিগ্রি উত্তর নিউইয়র্ক তাপমাত্রা ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৬২% অদ্রতা  মৃতের সংখ্যা ৪০৯৭ জন (চিত্র তাপমাত্রা ) 

temperature level.jpg


আমরা আজকের ০১.০৪.২০২০ তাপমাত্রা এবং অদ্রতা গুলো অক্ষাংশ  ৩০ ডিগ্রির নিচের দেশ গুলোর আক্রান্ত শহর গুলো দেখি এবং মোট মৃতের সংখ্যা দেখে নেই

যেমন- প্রথম শুরু করি  থাইল্যান্ড যার অক্ষাংশ ১৫ ডিগ্রি ব্যাংকক  তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৬২% অদ্রতা মোট মৃতের সংখ্যা ১২ জন বার্মা যার যার অক্ষাংশ ২০ ডিগ্রি উত্তর  রেঙ্গুন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৭৬% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ০ জন। বাংলাদেশ যার অক্ষাংশ ২৩ ডিগ্রি উত্তর ঢাকা তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৫০% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৬ জন ভারত  যার অক্ষাংশ ২০ ডিগ্রি উত্তর মুম্বাই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৫৫% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৪৫ জন কাতার যার অক্ষাংশ ২৫ ডিগ্রি উত্তর দোহার তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৩৬% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ২ জন সাউথ অফ্রিকা যার অক্ষাংশ ২৫ ডিগ্রি দক্ষিণ জহানেসবাগ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৫৪% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৫ জন  ব্রাজিল  যার অক্ষাংশ ১০ ডিগ্রি  দক্ষিন সানপাওলো তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী এবং ৫৯% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ২০৩ জন

নিচের গ্রাফে দেখা যায় কম তাপমাত্রায় কিভাবে মৃত্যুর হার বাড়ে, তাপমাত্রা বাড়লে কিভাবে মৃত্যুর হার কমে। গবেষণায় দেখা গেলো জাপান একমাত্র দেশ কম তাপ ও বেশী উষ্ণতায়  মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম এটার মূল কারন তাদের কেবল জিওগ্রাফিকাল প্রভাব আছে বায়োলজিক্যাল ডি এন এ সংমিশ্রণ নেই(ডি এন এ সংমিশ্রণ নিয়ে সামনে আলোচনা হবে) এবং করোনা ভাইরাস প্রকোপ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ইন্টারন্যাশনাল, কমিউনিটি ও লোকাল ভাইরাস ট্র্যান্সপার বন্ধে তাদের যথেষ্ট সচেতনতা ছিল এবং আছে বলে মনে করা হয়। 

ক্রম

দেশ

অক্ষাংশ ডিগ্রী

 তাপমাত্রা সেলসিয়াস

অদ্রতা

মোট মৃতের সংখ্যা

 ইরান

৩২ উত্তর

১৬

৪৪%

৩০৩৬

স্পেন

৪০ উত্তর

১২

৬৭%

৯০৬৫

ইতালি

৪১ উত্তর

১৪

২৯%

১২৪২৮

জাপান

৪৩ উত্তর

১১

৯৩%

৫৭

ফ্রান্স

৪৬ উত্তর

১৩

৩৯%

৩৫২৩

জার্মানি

৫১ উত্তর

১১

৩৭%

৮২১

যুক্তরাষ্ট্র

৪০ উত্তর

৬২%

৪০৯৭

থাইল্যান্ড

১৫ দক্ষিন

৩০

৭২%

১২

বার্মা

২০ দক্ষিন

২৮

৭৬%

১০

বাংলাদেশ

২৩ দক্ষিন

২৯

৫০%

১১

ভারত

২০ দক্ষিন

৩০

৫৫%

৪৫

১২

কাতার

২৫ উত্তর

২৬

৩৬%

১৩

সাউথ আফ্রিকা

২৫ দক্ষিন

২২

৫৪%

১৪

ব্রাজিল

১০ দক্ষিন

২৬

৫৯%

২০৩




মৃতের পরিসংখ্যান গ্রাপ



তাপমাত্রা কম উষ্ণতার বেশী উপরে মৃতও বেশী, নিম্নে তাপমাত্রা যত বেশী মৃতের সংখ্যা তত কম।  

আজকে পর্যন্ত আক্রান্ত মোট দেশের সংখ্যা টেরিটরিসহ ১৯৯টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি দেশ-ইতালি, স্পেন, চীন, ইরান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, সাউথ কোরিয়া সুইডেনের এর হিসেব যদি করি তবে দেখা যাচ্ছে, এই দেশগুলোর মধ্যেই মৃতের সংখ্যা আজ পর্যন্ত  মোট মৃতের সংখ্যার ৯৫% এবং এই ১৩টি দেশ ধারাবাহিকভাবে ৩০ ডিগ্রি অক্ষাংশ থেকে শুরু হয়ে ধিরে ধিরে উপরের দিকে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া এখন পর্যন্ত পৃথিবীর মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯৭.% হয়েছে ৩০ ডিগ্রি বা তার উপরে। আর বাকি মাত্র .% মৃত্যু হয়েছে ৩০ ডিগ্রির নিচে। অথচ ৩০ ডিগ্রির নিচের এলাকাগুলোতেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনবহুল এলাকাগুলো অবস্থিত এবং সেখানে মানুষ ঘিঞ্চি পরিবেশে বাস করে। তাই ছোয়াচে রোগ হিসেবে ৩০ ডিগ্রির নিচের এলাকাগুলোতে মৃত্যু হওয়ার কথা ছিলো বেশি, কিন্তু এখানে ঘটনা ঘটেছে ঠিক উল্টো

উপরোক্ত বিষয় থেকে জিওগ্রাপিক্যালি করোনার প্রকোপ ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার সাথে  তাপমাত্রার ভুমিকা রয়েছে বলেই অনুমেয়।

এবার আসি বায়োলজিক্যালে বিষয় নিয়েঅভিন্ন জীন বৈশিষ্টের জন্য নিদিষ্ট কিছু রোগ কিছু নিদিষ্ট জন গুষ্টিকে বেশী আক্রান্ত করে।

ইউরোপ থেকে এশিয়ার প্রাচীন পৃথিবীর সকল বাণিজ্য হতো  সিল্ক রোড(চিত্র সিল্ক রোড) ধরে সেটিও আর্কটিক অব ক্যান্সার ২৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ  থেকে আর্কটিক সার্কেল  ৬৫ ডিগ্রি  অক্ষাংশের মধ্যে, যা চায়না থেকে শুরু হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত(যা চিত্রে) সিল্ক রোড দেখানো হয়েছে  ।

photo_2019-09-15_14-26-16-1200x684.jpg


ইউরোপীয় ও এশিয়ানদের ব্যাবসায়িক সুবাদে বিয়ে ও নানাবিদ শারীরিক সম্পর্কের কারনে এই বিস্তিন্ন এলাকা জুড়ে অভিন্ন বা কাছাকাছি ডি এন এ বৈশিষ্ট দৃশ্যমান।আর ইউরোপিয়ানরাই আমেরিকা বানিজ্যের সুবাদে আমেরিকায় বসবাস শুরু করে ।যার কারনে এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকায় এই অভিন্ন ডি এন এ চড়িয়ে পড়ে। এই অভিন্ন  ডিএনএ কীভাবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্য এবং রোগকে প্রভাবিত করে সেটাই বলতে চাইছি। এই বিষয়ে বিশদ একটি গবেষণার দিকে নজর দেওয়া যাক। (চিত্র সিল্ক রোডে ধরেই করোনার প্রকোপ)


corona spreeding map.jpg


অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউসিএলের গবেষকগণ দ্বারা  ইন্টারেক্টিভ মানচিত্রটিতে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে জিনগত মিশ্রণের ইতিহাস গত চার সহস্রাব্দ জুড়ে রয়েছে। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলিতে নতুন করে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়ার পাশাপাশি, ডিএনএ কীভাবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্য এবং রোগকে প্রভাবিত করে তা এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউসিএলের গবেষকগণ একটি গবেষণা কর্মে দেখান কিভাবে ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকা জুড়ে জিনগত মিশ্রণের ইতিহাস গত চার সহস্রাব্দ জুড়ে রয়েছে।
 
"জনসংখ্যার মধ্যে জেনেটিক মিল এবং পার্থক্যগুলি ভালভাবে বোঝা জনস্বাস্থ্যের জন্য মূল বিষয়," ডাঃ সাইমন মায়ার্স বলেছেন। "কিছু জনগোষ্ঠী অন্যদের তুলনায় কিছু নির্দিষ্ট রোগের ঝুঁকির ঝুঁকিতে রয়েছে এবং ড্রাগের কার্যকারিতাও উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয় বলে জানা যায়। বিরল জিনগত পরিবর্তনগুলি জনসংখ্যার মধ্যে তফাত দেখায় এবং আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা বোঝা  বর্তমান গবেষণার একটি ক্ষেত্র আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও বিশদ সিকোয়েন্সিং অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, এই বিরল রূপান্তরগুলি চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া আরও ভালভাবে বুঝতে। ভবিষ্যতের কাজের জন্য সমৃদ্ধ সুযোগগুলি সরবরাহ করে, আমাদের ভবিষ্যতের ডেটা সেটগুলিতে প্রয়োগ করার সময় আমাদের পদ্ধতিটি আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত

"যেহেতু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেবল জিনগত তথ্য ব্যবহার করে তাই এটি অন্যান্য উত্স থেকে স্বাধীন তথ্য সরবরাহ করে প্রায় ১২০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে, ইউরোপীয়রাও আধুনিক গ্রীকদের মতো একইরকম চিনের  জনসংখ্যার সাথে মিশে গিয়েছিল। সম্ভবত ইউরোপীয় জাতীয় ডিএনএর উত্সটি নিকটবর্তী সিল্ক রোডে ভ্রমণকারী বণিক হতে পারে। "

নীচের গ্রাপে দেখানো হয়েছে ইউরোপ ও আমেরিকায় জিনগত সাদৃশ্য থাকার কারনে করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত ও মৃতের হার অন্যান্য অংশ থেকে বেশী


ক্রম

দেশ

মোট আক্রান্ত

সম্পূর্ণ সুস্থ

মোট মৃতের সংখ্যা

মৃত%

ইরান

৪৭৫৯৩

১৫৪৭৩

৩০৩৬

৬.৩৭

স্পেন

১০৪১১৮

২২৬৪৭

৯৩৮৭

৯.০১

ইতালি

১১০৫৭৪

১৬৮৪৭

১৩১৫৫

১১.৮৯

জাপান

২৩৮৪

৪৭২

৫৭

২.৩৯

ফ্রান্স

৫৬৯৮৯

১০৯৩৫

৪০৩২

৭.০৭

জার্মানি

৭৭৯৮১

১৯১৭৫

৯৩১

১.১৯

যুক্তরাষ্ট্র

২১৫৩৪৪

৮৮৭৮

৫১১২

২.৩৭

থাইল্যান্ড

১৮৭৫

৫০৫

১৫

০.৮০

বার্মা

০.০০

১০

বাংলাদেশ

৫৬

২৫

১০.৭১

১১

ভারত

২০৩২

১৪৮

৫৮

২.৮৫

১২

কাতার

১৫

০.০০

১৩

সাউথ আফ্রিকা

১৩৮০

৫০

০.৩৬

১৪

ব্রাজিল

৬৯৩১

১২৭

২৪৪

৩.৫২







এতক্ষণ প্রাচীন সিল্ক রোডের ডিএনএ এর সংমিশ্রণ নিয়ে যেসব আলোচনা করলাম আর্থাৎ ইউরোপিয়ান, আমেরিকান ও চাইনিজ দের সাদৃশ ডি এন এ যার কারনে বায়োলজিক্যালি আমরা আক্রান্ত হতে পারি তা নাকচ হয়ে গেছে এ জন্য যে আমাদের ইউরোপিয়ানদের সাদৃশ ডিএনএ নেই তাই বায়োলজিক্যালি আমাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এখন যদি বলেন আমেরিকাতে বাংলাদেশী কিভাবে মরল উত্তর এটি জিওগ্রাফিকালি হয়েছে যদিও বাংলাদেশিদের ওই মৃত্যুর হার ইউরো আমেরিকানদের তুলনায় নিতান্তই অনেক কম।

তবে সারা বিশ্বের জন্য আশার খবর স্বল্প আয়ু নিয়ে ত্রাস তৈরি করা এই ভাইরাসটি হামের মতো শরীরে প্রতিরোধ বাবস্থা তৈরি করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে। সারা পৃথিবীর জন্য দুঃসংবাদ যদি এধরনের ভাইরাস কোন ল্যাবে জৈব অস্ত্রের প্রতিযোগিতার জন্য করে থাকে তবে ভবিষৎতে এমন ভাইরাস তৈরির প্রতিযোগিতায় বিপন্ন হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা। আমরা এবার ধরে নিলাম এটি প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে, প্রকৃতির নিয়মে এটি বিদায় নিবে।  


কোভিড-১৯ সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছের রাষ্ট্র ভারতীয় গবেষক জি পি নাগেশ্বর রেড্ডির দাবী হলো- ইতালিতে ভাইরাসটি যেমন আচরণ করছে, ভারতীয়দের শরীরে তেমন আচরণ করছে না, বরং ভিন্ন আচরণ করছে। এ সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ’র বক্তব্য হলো- “ইতালিতে এ ভাইরাসের আরএনএতে তিনটি নিউক্লিওটাইড পরিবর্তন হয়েছে। আর এর ফলে এটি মানুষের জন্য আরও মারাত্মক হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারতে ছড়িয়েছে, তখন এর জিনগত কিছু বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়েছে। ভারতের ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে কিছু কিছু জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমেই ভাইরাসটি মানবশরীরের কোষে সংযুক্ত হয়। ভারতের ক্ষেত্রে কম যুক্ত হয়েছে, যার অর্থ, এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। (https://bit.ly/2UFRKsp)

তারমানে ইতালিতে ভাইরাসটি মানব শরীরের সংযুক্ত হওয়ার সময় যেমন আচরণ করছে, ভারত উপমহাদেশে তেমন আচরণ করছে না, দুর্বলতর আচরণ করছে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে আপনি ইতালির পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলনা হয়না।

তবে আমাদের জন্য আরও আশার আলো বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রা থাকে আগস্টে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকে ফেব্রুয়ারিতে যা আমরা ফেলে এসে তিব্র তাপদাহের দিকে যাচ্ছি। তবে জিওগ্রাফিক্যাল কানেক্টিবিটি না থাকলেও ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিবিটি থেকে আমরা করোনাকে পেয়েছি সেটা এখন সোশ্যাল এবং কমিউনিটি কানেক্টিভিটি থেকে চড়াতে পারে । আমাদের যে পরিমাণ গনবসতি একবার যদি সোশ্যাল এবং কমিউনিটি কানেক্টিভিটি পেয়ে যায় তবে আমাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।আপাতত ১৪ থেকে ২৮ দিন সামাজিক দুরত্ত ও বাড়ীতে নিরাপদ অবস্থান করাটাই উত্তম কাজ নিজেকে, পরিবারকে, সমাজ ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার। পাশাপাশী শরীরের রোগ প্রতিরোধ নিন্মকে বিষয় গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে এবং মেনে চলতে হবে।

যেহেতু এখনো পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় নাই তাই শরীরের এন্টিবডিকে শক্তিশালী করে জীবানুর রিরুদ্ধে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করাই করোনা ভাইরাস মোকাবেলার একামাত্র উপায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিছে উল্লেখ করা হলঃ

 

চীন যেভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সফলতা পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে-

আক্রান্ত ব্যক্তি দিনে কমপক্ষে চারবার গরম পানি পান করবে, চারবার গরম পানির ভাপ নাকে মুখে নিবে এবং লম্বা নিশ্বাস নিবে, বেশী বেশী গরম দুধ ও গরম চা পান করবে। করোনা টেস্ট পজিটিভ হলে একাধারে ১৪ দিন এই চিকিৎসা নিলে ৫ম দিন থেকে এই চিকিৎসা নিলে প্রতিরোধের সফলতা মিলছে। 

 

ডাক্তার বিশ্বজিত চৌধুরী রায়ের মতে যে কোন ভাইরাস গঠিত জ্বর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অবলম্ভন করলে ভাইরাস জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে জ্বর শুরুর ১ম দিন থেকে।

১। প্রতিদিন প্রচুর পরিমানে ‘‘ভিটামিন সি’’ খেতে হবে (লেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে)

২। (ক) জ্বররে ১ম দিন আপনার শরীরের ওজনকে ১০ দিয়ে ভাগ করে যা আসবে ৫০% ডাবের পানি খাবেন এবং বাকী ৫০% বিভিন্ন ফলের রস ছাড়া আর কিছু খাওয়া যাবেনা।

(খ) ২য় দিন শরীরের ওজনকে ২০ দিয়ে ভাগ করে যে সংখ্যা দাড়াবে তার ৫০% ডাবের পানি ও বাকী ৫০% ফলের রস খেতে হবে সঙ্গে শরীরের ওজন কেজি কে ৫ দিয়ে গুন করে যা আসবে তত গ্রাম পরিমান টমেটো ও শষা খেতে হবে, অন্য কিছু খাওয়া যাবে না।

(গ) ৩য় দিন শরীরের ওজনকে ৩০ দিয়ে ভাগ করে যা হবে সে অনুসারে ৫০% ডাবের পানি ও ৫০% ফলের রস দুপুর পর্যন্ত খেতে হবে, দুপুরে এসে শরীরের ওজন কেজি কে ৫ দিয়ে গুন করে যা আসবে তত গ্রাম পরিমান টমেটো ও শষা খেতে হবে এবং রাতে স্বাভাবিক খাবার খেতে হবে।


শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রচুর পরিমাণে নীচের খাবার গুলো খেতে হবে।

৩। প্রচুর পরিমানে আদা, মধু, রসুন, কালিজিরা, খালি পান, আজোয়া খেজুর, তিনফল, জৈতুন, লেবু, কমলা, আনার, গাজর, টমেটো,ক্যাপসিকাম, পুদিনা পাতা ও গ্রীণ টি বাদা খেতে হবে।

 

১। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রানী থেকে মানুষে ছড়ালেও বিভিন্ন কমিউনিটিতে বাহকগুলো হচ্ছে দৈনন্দিন ব্যবহৃত টাকা, মোবাইল, মানিব্যাগ,চাবি, বডি কন্ট্রাক্ট, বাজার থেকে ক্রয়কৃত যে কোন পণ্য, সিড়ির রেলিং, লিফটের সুইচ, যে কোন রেষ্টুরেন্টের খাবার খাওয়া, একই হেলমেট একাধিক জন ব্যবহার করা, অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করার ফলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।

তাই এইসব জিনিস স্পর্শ করার পর এ্যান্টিসেফটিক দ্রবন, সাবান কিংবা কাপড় কাঁচা সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে, ব্যবহৃত পোষাক বাসায় প্রবেশের সাথে সাথে ধুয়ে নিতে হবে, বাসার বাহিরে মাক্স ব্যবহার করতে হবে।


সর্বশেষ যে কথাটি বলবো এই গবেষণা প্রমান করে না বাংলাদেশ ঝুকিমুক্ত, বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অনুমান মাত্র। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ প্রতিকার নির্ভর করে আমাদের সচেতনতার উপর। শুধু জনগণের সচেতনতা নয় পাশা পাশি সরকারকে প্রান্তিক জনগুষ্টি যারা দিনে এনে দিনে খায় তারা যাতে খাবারের জন্য বাহিরে যেতে না হয় , সরকারকে ওদের ঘরে খাবার পোঁছানোর বাবস্থা করতে হবে। আমরা সচেতন হলেই এই মহামারী থেকে রক্ষা পাবো। কারন শতকরা হারে মৃতের পরিসংখ্যানে ১০.৭১% অর্থাৎ ৫৬ জনে ৬ জন হিসেবে বাংলাদেশে মৃতের হার সবচেয়ে বেশী। সর্বশেষ বলবো নিজেদের দোষে বিপদ ডেকে এনে, সব দোষ নন্দঘোষ না বলি।