করোনা ভাইরাস আক্রমণে সাথে অক্ষাংশের গভীর সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে। অক্ষাংশ হচ্ছে পৃথিবীর কেন্দ্র দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে যে রেখা কল্পনা করা হয় তাকেই অক্ষাংশ বলে।
করোনা ভাইরাস আর্কটিক অব
ক্যান্সার ২৫ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ থেকে
আর্কটিক সার্কেল
৬৫ ডিগ্রি
উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে। যেখানে
তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে (চিত্র নিচে)
করোনা ভাইরাস প্রথম আক্রমণ করে চীনের উহান প্রদেশে, যার অক্ষাংশ ৩০ ডিগ্রি উত্তর থেকে শুরু করে ৫৫ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে সামনের দিকে ধিরে ধিরে উপরে উঠেছে, দ্রাঘিমা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে, কিন্তু নিচে নামেনি অর্থাৎ করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে উপরের দিকে, কিন্তু নিচের দিকে নামমাত্র করোনা হয়েছে আর মৃত্যু নেই বললেই চলে। আমরা আজকের ০১.০৪.২০২০ তারিখের তাপমাত্রা, অদ্রতা এবং আজ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা দেখে অক্ষাংশের ভিত্তিতে বেশী আক্রান্ত শহর গুলো দেখি তাহলে ২৫ ডিগ্রী আক্ষাংশের উপর ও নিচের পার্থক্য বুজা যাবে। যেমন- প্রথম শুরু হয় চীনের উহানে যার যার অক্ষাংশ ৩০ ডিগ্রি উত্তর, তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৭৩% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৩৩১২ জন। ইরান যার যার অক্ষাংশ ৩২ ডিগ্রি উত্তর তেহরানের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৪৪% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৩০৩৬ জন। স্পেন যার অক্ষাংশ ৪০ ডিগ্রি উত্তর মাদ্রিদে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৬৭% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৯০৫৩ জন। ইতালি যার অক্ষাংশ ৪১ ডিগ্রি উত্তর রোম তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ২৯% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ১২৪২৮ জন। জাপান যার অক্ষাংশ ৪৩ ডিগ্রি উত্তর টোকিও তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৯৩% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৫৭ জন। ফ্রান্স যার অক্ষাংশ ৪৬ ডিগ্রি উত্তর তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৩৯% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৩৫২৩ জন। জার্মানি যার অক্ষাংশ ৫১ ডিগ্রি উত্তর বার্লিন তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রী এবং ৩৭% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৮২১ জন। যুক্তরাষ্ট্র যার অক্ষাংশ ৪০ ডিগ্রি উত্তর নিউইয়র্ক তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৬২% অদ্রতা মৃতের সংখ্যা ৪০৯৭ জন। (চিত্র তাপমাত্রা )
আমরা আজকের ০১.০৪.২০২০ তাপমাত্রা
এবং অদ্রতা গুলো অক্ষাংশ ৩০ ডিগ্রির নিচের
দেশ গুলোর আক্রান্ত শহর গুলো দেখি এবং মোট মৃতের সংখ্যা দেখে নেই।
যেমন- প্রথম শুরু করি থাইল্যান্ড যার অক্ষাংশ ১৫ ডিগ্রি ব্যাংকক
তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৬২% অদ্রতা মোট মৃতের
সংখ্যা ১২ জন। বার্মা যার যার অক্ষাংশ ২০ ডিগ্রি উত্তর রেঙ্গুন তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৭৬% অদ্রতা মৃতের
সংখ্যা ০ জন। বাংলাদেশ যার অক্ষাংশ ২৩ ডিগ্রি উত্তর ঢাকা তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৫০% অদ্রতা মৃতের
সংখ্যা ৬ জন। ভারত যার অক্ষাংশ ২০ ডিগ্রি উত্তর মুম্বাই তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৫৫% অদ্রতা মৃতের
সংখ্যা ৪৫ জন । কাতার যার অক্ষাংশ ২৫ ডিগ্রি উত্তর দোহার তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৩৬% অদ্রতা মৃতের
সংখ্যা ২ জন । সাউথ অফ্রিকা যার অক্ষাংশ ২৫ ডিগ্রি দক্ষিণ
জহানেসবাগ তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ৫৪% অদ্রতা মৃতের
সংখ্যা ৫ জন। ব্রাজিল যার অক্ষাংশ ১০ ডিগ্রি দক্ষিন সানপাওলো তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রী এবং ৫৯% অদ্রতা মৃতের
সংখ্যা ২০৩ জন ।
নিচের গ্রাফে দেখা যায় কম তাপমাত্রায় কিভাবে মৃত্যুর হার বাড়ে, তাপমাত্রা বাড়লে কিভাবে মৃত্যুর হার কমে। গবেষণায় দেখা গেলো জাপান একমাত্র দেশ কম তাপ ও বেশী উষ্ণতায় মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম এটার মূল কারন তাদের কেবল জিওগ্রাফিকাল প্রভাব আছে বায়োলজিক্যাল ডি এন এ সংমিশ্রণ নেই(ডি এন এ সংমিশ্রণ নিয়ে সামনে আলোচনা হবে) এবং করোনা ভাইরাস প্রকোপ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ইন্টারন্যাশনাল, কমিউনিটি ও লোকাল ভাইরাস ট্র্যান্সপার বন্ধে তাদের যথেষ্ট সচেতনতা ছিল এবং আছে বলে মনে করা হয়।
ক্রম |
দেশ |
অক্ষাংশ ডিগ্রী |
তাপমাত্রা সেলসিয়াস |
অদ্রতা |
মোট মৃতের সংখ্যা |
১ |
ইরান |
৩২ উত্তর |
১৬ |
৪৪% |
৩০৩৬ |
২ |
স্পেন |
৪০ উত্তর |
১২ |
৬৭% |
৯০৬৫ |
৩ |
ইতালি |
৪১ উত্তর |
১৪ |
২৯% |
১২৪২৮ |
৪ |
জাপান |
৪৩ উত্তর |
১১ |
৯৩% |
৫৭ |
৫ |
ফ্রান্স |
৪৬ উত্তর |
১৩ |
৩৯% |
৩৫২৩ |
৬ |
জার্মানি |
৫১ উত্তর |
১১ |
৩৭% |
৮২১ |
৭ |
যুক্তরাষ্ট্র |
৪০ উত্তর |
৬ |
৬২% |
৪০৯৭ |
৮ |
থাইল্যান্ড |
১৫ দক্ষিন |
৩০ |
৭২% |
১২ |
৯ |
বার্মা |
২০ দক্ষিন |
২৮ |
৭৬% |
০ |
১০ |
বাংলাদেশ |
২৩ দক্ষিন |
২৯ |
৫০% |
৬ |
১১ |
ভারত |
২০ দক্ষিন |
৩০ |
৫৫% |
৪৫ |
১২ |
কাতার |
২৫ উত্তর |
২৬ |
৩৬% |
২ |
১৩ |
সাউথ আফ্রিকা |
২৫ দক্ষিন |
২২ |
৫৪% |
৫ |
১৪ |
ব্রাজিল |
১০ দক্ষিন |
২৬ |
৫৯% |
২০৩ |
মৃতের পরিসংখ্যান গ্রাপ
তাপমাত্রা কম উষ্ণতার বেশী উপরে মৃতও বেশী, নিম্নে তাপমাত্রা যত বেশী মৃতের
সংখ্যা তত কম।
আজকে পর্যন্ত আক্রান্ত মোট দেশের সংখ্যা টেরিটরিসহ ১৯৯টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১৩টি দেশ-ইতালি, স্পেন, চীন, ইরান, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ড, জার্মানি, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, সাউথ কোরিয়া ও সুইডেনের এর হিসেব যদি করি তবে দেখা যাচ্ছে, এই দেশগুলোর মধ্যেই মৃতের সংখ্যা আজ পর্যন্ত
মোট মৃতের সংখ্যার ৯৫%। এবং এই ১৩টি দেশ ধারাবাহিকভাবে ৩০ ডিগ্রি অক্ষাংশ থেকে শুরু হয়ে ধিরে ধিরে উপরের দিকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এছাড়া এখন পর্যন্ত পৃথিবীর মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯৭.৫% হয়েছে ৩০ ডিগ্রি বা তার উপরে। আর বাকি মাত্র ২.৫% মৃত্যু হয়েছে ৩০ ডিগ্রির নিচে। অথচ ৩০ ডিগ্রির নিচের এলাকাগুলোতেই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনবহুল এলাকাগুলো অবস্থিত এবং সেখানে মানুষ ঘিঞ্চি পরিবেশে বাস করে। তাই ছোয়াচে রোগ হিসেবে ৩০ ডিগ্রির নিচের এলাকাগুলোতে মৃত্যু হওয়ার কথা ছিলো বেশি, কিন্তু এখানে ঘটনা ঘটেছে ঠিক উল্টো।
উপরোক্ত বিষয় থেকে জিওগ্রাপিক্যালি করোনার প্রকোপ ও মৃতের সংখ্যা বাড়ার সাথে তাপমাত্রার ভুমিকা রয়েছে বলেই অনুমেয়।
ইউরোপ থেকে এশিয়ার প্রাচীন পৃথিবীর সকল বাণিজ্য
হতো সিল্ক রোড(চিত্র সিল্ক রোড) ধরে সেটিও
আর্কটিক অব ক্যান্সার ২৫ ডিগ্রি অক্ষাংশ
থেকে আর্কটিক সার্কেল ৬৫ ডিগ্রি
অক্ষাংশের মধ্যে, যা চায়না থেকে শুরু হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত
বিস্তৃত(যা চিত্রে) সিল্ক রোড দেখানো হয়েছে
।
ইউরোপীয় ও এশিয়ানদের ব্যাবসায়িক সুবাদে বিয়ে ও নানাবিদ শারীরিক সম্পর্কের
কারনে এই বিস্তিন্ন এলাকা জুড়ে অভিন্ন বা কাছাকাছি ডি এন এ বৈশিষ্ট দৃশ্যমান।আর
ইউরোপিয়ানরাই আমেরিকা বানিজ্যের সুবাদে আমেরিকায় বসবাস শুরু করে ।যার কারনে এশিয়া,
ইউরোপ ও আমেরিকায় এই অভিন্ন ডি এন এ চড়িয়ে পড়ে। এই অভিন্ন ডিএনএ কীভাবে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে স্বাস্থ্য এবং
রোগকে প্রভাবিত করে সেটাই বলতে চাইছি। এই বিষয়ে বিশদ একটি গবেষণার দিকে নজর দেওয়া
যাক। (চিত্র সিল্ক রোডে ধরেই করোনার প্রকোপ)
"যেহেতু আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেবল জিনগত
তথ্য ব্যবহার করে তাই এটি অন্যান্য উত্স থেকে স্বাধীন তথ্য সরবরাহ করে প্রায় ১২০০
খ্রিস্টাব্দের দিকে, ইউরোপীয়রাও আধুনিক গ্রীকদের মতো একইরকম চিনের জনসংখ্যার সাথে মিশে গিয়েছিল। সম্ভবত ইউরোপীয়
জাতীয় ডিএনএর উত্সটি নিকটবর্তী সিল্ক রোডে ভ্রমণকারী বণিক হতে পারে। "
এতক্ষণ
প্রাচীন সিল্ক রোডের ডিএনএ এর সংমিশ্রণ নিয়ে যেসব আলোচনা করলাম আর্থাৎ ইউরোপিয়ান,
আমেরিকান ও চাইনিজ দের সাদৃশ ডি এন এ যার কারনে বায়োলজিক্যালি আমরা আক্রান্ত হতে পারি তা নাকচ হয়ে গেছে এ জন্য যে আমাদের
ইউরোপিয়ানদের সাদৃশ ডিএনএ নেই তাই বায়োলজিক্যালি আমাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা
নেই। এখন যদি বলেন আমেরিকাতে বাংলাদেশী কিভাবে মরল উত্তর এটি জিওগ্রাফিকালি হয়েছে
যদিও বাংলাদেশিদের ওই মৃত্যুর হার ইউরো আমেরিকানদের তুলনায় নিতান্তই অনেক কম।
তবে
সারা বিশ্বের জন্য আশার খবর স্বল্প আয়ু নিয়ে ত্রাস তৈরি করা এই ভাইরাসটি হামের মতো
শরীরে প্রতিরোধ বাবস্থা তৈরি করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে। সারা পৃথিবীর জন্য
দুঃসংবাদ যদি এধরনের ভাইরাস কোন ল্যাবে জৈব অস্ত্রের প্রতিযোগিতার জন্য করে থাকে
তবে ভবিষৎতে এমন ভাইরাস তৈরির প্রতিযোগিতায় বিপন্ন হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা।
আমরা এবার ধরে নিলাম এটি প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে, প্রকৃতির নিয়মে এটি বিদায়
নিবে।
কোভিড-১৯ সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছের রাষ্ট্র ভারতীয় গবেষক জি পি নাগেশ্বর রেড্ডির দাবী হলো- ইতালিতে ভাইরাসটি যেমন আচরণ করছে, ভারতীয়দের শরীরে তেমন আচরণ করছে না, বরং ভিন্ন আচরণ করছে। এ সম্পর্কে একজন বিশেষজ্ঞ’র বক্তব্য হলো- “ইতালিতে এ ভাইরাসের আরএনএতে তিনটি নিউক্লিওটাইড পরিবর্তন হয়েছে। আর এর ফলে এটি মানুষের জন্য আরও মারাত্মক হয়ে পড়েছে। কিন্তু ভারতে ছড়িয়েছে, তখন এর জিনগত কিছু বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়েছে। ভারতের ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে কিছু কিছু জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। স্পাইক প্রোটিনের মাধ্যমেই ভাইরাসটি মানবশরীরের কোষে সংযুক্ত হয়। ভারতের ক্ষেত্রে কম যুক্ত হয়েছে, যার অর্থ, এটি দুর্বল হয়ে পড়েছে। (https://bit.ly/2UFRKsp)
তারমানে ইতালিতে ভাইরাসটি মানব শরীরের সংযুক্ত হওয়ার সময় যেমন আচরণ করছে, ভারত উপমহাদেশে তেমন আচরণ করছে না, দুর্বলতর আচরণ করছে। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে আপনি ইতালির পরিস্থিতির সাথে বাংলাদেশের পরিস্থিতি তুলনা হয়না।
তবে
আমাদের জন্য আরও আশার আলো বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশী তাপমাত্রা থাকে আগস্টে সর্বনিম্ন
তাপমাত্রা থাকে ফেব্রুয়ারিতে যা আমরা ফেলে এসে তিব্র তাপদাহের দিকে যাচ্ছি। তবে
জিওগ্রাফিক্যাল কানেক্টিবিটি না থাকলেও ইন্টারন্যাশনাল কানেক্টিবিটি থেকে আমরা
করোনাকে পেয়েছি সেটা এখন সোশ্যাল এবং কমিউনিটি কানেক্টিভিটি থেকে চড়াতে পারে ।
আমাদের যে পরিমাণ গনবসতি একবার যদি সোশ্যাল এবং কমিউনিটি কানেক্টিভিটি পেয়ে যায়
তবে আমাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না।আপাতত ১৪ থেকে ২৮ দিন সামাজিক দুরত্ত ও বাড়ীতে
নিরাপদ অবস্থান করাটাই উত্তম কাজ নিজেকে, পরিবারকে, সমাজ ও দেশকে সুরক্ষিত রাখার। পাশাপাশী শরীরের রোগ প্রতিরোধ নিন্মকে বিষয়
গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে এবং মেনে চলতে হবে।
যেহেতু এখনো পর্যন্ত
কোন ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয় নাই তাই শরীরের এন্টিবডিকে শক্তিশালী করে জীবানুর রিরুদ্ধে
শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করাই করোনা ভাইরাস মোকাবেলার একামাত্র উপায়। তাই
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিছে উল্লেখ করা হলঃ
চীন যেভাবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সফলতা পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে-
আক্রান্ত ব্যক্তি
দিনে কমপক্ষে চারবার গরম পানি পান করবে, চারবার গরম পানির ভাপ নাকে মুখে নিবে এবং লম্বা নিশ্বাস নিবে, বেশী বেশী গরম
দুধ ও গরম চা পান করবে। করোনা টেস্ট পজিটিভ হলে একাধারে ১৪ দিন এই চিকিৎসা নিলে ৫ম
দিন থেকে এই চিকিৎসা নিলে প্রতিরোধের সফলতা মিলছে।
ডাক্তার বিশ্বজিত চৌধুরী রায়ের মতে যে কোন ভাইরাস গঠিত জ্বর ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত
পদ্ধতি অবলম্ভন করলে ভাইরাস জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে জ্বর শুরুর ১ম দিন
থেকে।
১। প্রতিদিন প্রচুর
পরিমানে ‘‘ভিটামিন সি’’ খেতে হবে (লেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকে)
২। (ক) জ্বররে ১ম দিন আপনার শরীরের ওজনকে ১০ দিয়ে ভাগ করে যা আসবে ৫০% ডাবের পানি খাবেন এবং বাকী
৫০% বিভিন্ন ফলের রস ছাড়া আর কিছু খাওয়া যাবেনা।
(খ) ২য় দিন শরীরের
ওজনকে ২০ দিয়ে ভাগ করে যে সংখ্যা দাড়াবে তার ৫০% ডাবের পানি ও বাকী ৫০% ফলের রস খেতে
হবে সঙ্গে শরীরের ওজন কেজি কে ৫ দিয়ে গুন করে যা আসবে তত গ্রাম পরিমান টমেটো ও শষা
খেতে হবে, অন্য কিছু খাওয়া যাবে না।
(গ) ৩য় দিন শরীরের
ওজনকে ৩০ দিয়ে ভাগ করে যা হবে সে অনুসারে ৫০% ডাবের পানি ও
শরিরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
বাড়াতে প্রচুর পরিমাণে নীচের খাবার গুলো খেতে হবে।
৩। প্রচুর পরিমানে
আদা, মধু, রসুন, কালিজিরা, খালি পান, আজোয়া খেজুর, তিনফল, জৈতুন, লেবু, কমলা, আনার,
গাজর, টমেটো,ক্যাপসিকাম, পুদিনা পাতা ও গ্রীণ টি বাদা খেতে হবে।
১। প্রাথমিক পর্যায়ে
প্রানী থেকে মানুষে ছড়ালেও বিভিন্ন কমিউনিটিতে বাহকগুলো হচ্ছে দৈনন্দিন ব্যবহৃত টাকা,
মোবাইল, মানিব্যাগ,চাবি, বডি কন্ট্রাক্ট, বাজার থেকে ক্রয়কৃত যে কোন পণ্য, সিড়ির রেলিং,
লিফটের সুইচ, যে কোন রেষ্টুরেন্টের খাবার খাওয়া, একই হেলমেট একাধিক জন ব্যবহার করা,
অপরিষ্কার হাত দিয়ে নাক, মুখ ও চোখ স্পর্শ করার ফলে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
তাই এইসব জিনিস স্পর্শ করার পর এ্যান্টিসেফটিক দ্রবন, সাবান কিংবা কাপড় কাঁচা সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে, ব্যবহৃত পোষাক বাসায় প্রবেশের সাথে সাথে ধুয়ে নিতে হবে, বাসার বাহিরে মাক্স ব্যবহার করতে হবে।
সর্বশেষ যে কথাটি বলবো এই
গবেষণা প্রমান করে না বাংলাদেশ ঝুকিমুক্ত, বিভিন্ন পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে অনুমান মাত্র। করোনা
ভাইরাস প্রতিরোধ প্রতিকার নির্ভর করে আমাদের সচেতনতার উপর। শুধু জনগণের সচেতনতা নয়
পাশা পাশি সরকারকে প্রান্তিক জনগুষ্টি যারা দিনে এনে দিনে খায় তারা যাতে খাবারের
জন্য বাহিরে যেতে না হয় , সরকারকে ওদের ঘরে খাবার পোঁছানোর বাবস্থা করতে হবে। আমরা
সচেতন হলেই এই মহামারী থেকে রক্ষা পাবো। কারন শতকরা হারে মৃতের পরিসংখ্যানে ১০.৭১%
অর্থাৎ ৫৬ জনে ৬ জন হিসেবে বাংলাদেশে মৃতের হার সবচেয়ে বেশী। সর্বশেষ বলবো নিজেদের দোষে বিপদ ডেকে এনে, সব দোষ নন্দঘোষ না বলি।